বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৪১ অপরাহ্ন

“আর নয় লাশের মিছিল” সীমান্তে হত্যা ও আগ্রাসন বন্ধের দাবী হানিফ বাংলাদেশীর

লালমনিরহাট প্রতিনিধি : কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে শুরু হওয়া সীমান্ত হত্যা ও আগ্রাসন বন্ধের দাবীতে হানিফ বাংলাদেশী নামে একটি সংগঠন লালমনিরহাটে অবস্থান কর্মসূচি ও মিছিল করেছে। প্রতীকী এই কর্মসূচি প্রায় এক ঘন্টা স্থায়ী ছিল।

বৃহস্পতিবার (২২ফেব্রুয়ারী) দুপুরে জেলার প্রাণকেন্দ্র মিশনমোড় গোল চত্বরে বাংলাদেশ গণশক্তি পার্টির হানিফ বাংলাদেশীর নেতৃতে এ প্রতীকী লাশ নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

লাশ নিয়ে প্রতীকী এই কর্মসূচি চলাকালে গণশক্তি পার্টির আহবায়ক হানিফ বাংলাদেশী তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্ত রয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিবেশী দু’দেশ ভারত ও মিয়ানমার কিন্তু এই দেশ দু’টি সব সময় বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন ও সীমান্তে প্রতিনিয়ত হত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত সীমান্তে নিরিহ মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করছে। কিছুদিন আগে যশোর সীমান্তে বাংলাদেশের একজন বিজিবি সদস্যকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে।

এদিকে গত ৪ মাসে ভারত সীমান্তে ২১ জন বাংলাদেশী বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা গুলোর হিসেবে ২০১০ সাল থেকে প্রায় ১২৭৬ জন বাংলাদেশীকে বিএসএফ হত্যা করেছে ও ১১৮৩ জন আহত হয়েছে। আরেক প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার তাদের ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে অত্যাচার করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের আভান্তরিন যুদ্ধে মটারসেলে দুজন বাংলাদেশী নাগরিক নিহত হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, লাশ নিয়ে প্রতীকী কর্মসূচি পালনে উদ্দেশ্য সীমান্ত আগ্রাসন ও হত্যা বন্ধে রাস্ট্রীয় হস্তক্ষেপ ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে ২০২০ সাল হতে প্রতীকী লাশ কাঁধে নিয়ে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম জেলায় পদযাত্রা করেছি। এবার ১৬ ফেব্রুয়ারি হতে পুনরায় দেশের কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে প্রতীকী লাশ নিয়ে লালমনিরহাটসহ সকল সীমানাবর্তী জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করেছি। এই কর্মসূচি আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি যশোহর সীমান্তে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে শেষ হবে।

বাংলাদেশের সাথে প্রতিবেশীর দেশের সীমান্তে হত্যার পরে বলা হয় এরা গরু চোর বা গরু চোরাকারবারি, কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে গরু চোর বা চোরাকারবারি কে কী আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইনে হত্যা করা যায়৷ সীমান্ত অপরাধ বন্ধে আন্তর্জাতিক আইনে গ্রেফতার করে বিচার করা হোক এই দাবি আমাদের। সীমান্তে গুলি করে হত্যা কোন সমাধান হতে পারে না। তাদের দাবী দেশের সব শাসকদের আমলে দুর্বল নতজানুর কারনে ভারত ও মিয়ানমার বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত ও মিয়ানমারের সাথে অন্য কোন দেশের সীমান্তে বাংলাদেশের সীমান্তের মত বীভৎস এই আচরণ করা হয় না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com